মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন সৌদি আরবের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। হোয়াইট হাউসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেওয়া জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনাই সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট করেছে। ঘোড়সওয়ার রক্ষী, পতাকা ও যুদ্ধবিমানের শোভাযাত্রায় যুবরাজকে স্বাগত জানানো হয়—ট্রাম্প প্রশাসনে কোনো বিদেশি নেতার জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে বড় আয়োজন।
ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় ট্রাম্প যুবরাজকে ‘রাজকীয় বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে প্রশংসা করেন। তবে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাচেষ্টা প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতেই তিনি বিরক্ত হন এবং যুবরাজের পক্ষেই অবস্থান নেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সঙ্গে যায় না।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা গেছে সামরিক নীতিতে। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমানসহ উন্নত সামরিক প্রযুক্তি পাবে—যা এতদিন কেবল ইসরায়েলের জন্য বিশেষভাবে সংরক্ষিত ছিল। এই সিদ্ধান্তে তেল আবিব ক্ষুব্ধ হয়েছে।
এ ছাড়াও সৌদি আরব ও আমিরাতের কাছে উন্নত এআই চিপ বিক্রির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে সৌদির বৈশ্বিক প্রযুক্তি কেন্দ্র হওয়ার আকাঙ্ক্ষা আরও জোরালো হলো। বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৩০–এর দশকে তেলকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন–রিয়াদ সম্পর্ক যেমন গভীর হয়েছিল, এআই–কে কেন্দ্র করেও নতুন যুগে সেটির পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক কয়েকটি পদক্ষেপ থেকে ধারণা করা হচ্ছে—ট্রাম্প প্রশাসন আপাতত ইসরায়েলকেন্দ্রিক নীতি থেকে সরে এসেছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা রাখা, সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল, আর মধ্যপ্রাচ্য সফরে ইসরায়েলকে তালিকার বাইরে রেখে সৌদি–কাতার–ইউএই সফর—সব মিলিয়ে সৌদির সমর্থন আদায়কেই এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্প।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
সিএ/এমআরএফ


