বিয়ে গোপন করার অভিযোগে মোছা. নুসরাত জাহান তাসনিম ওরফে তাসমিন নাহারকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকার একটি আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় নুসরাত আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, দণ্ডবিধির ৪৯৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে ৪০৬ ধারার অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় প্রতারণার দায়ে বিয়ের কাজী আবু মুসা আহম্মদকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি পলাতক থাকায় সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তার নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরেক আসামি মো. আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর এক লাখ টাকা দেনমোহরে নুসরাতকে বিয়ে করেন রংপুরের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান। তখন নুসরাতকে অবিবাহিত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। পরে ২০১৮ সালে নুসরাতের ভাইকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নুসরাত আর সংসার করতে চাননি।
ঘটনার পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সালিশ বৈঠকে জানা যায়, নুসরাতের আগের বিয়ে গোপন রেখে নতুন করে তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর জাহিদ হাসান নুসরাত ও কাজীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সিএ/এমআরএফ


