বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, গণভোটের মাধ্যমে কোনো আইন প্রণয়ন বা সংবিধান সংশোধন করা সাংবিধানিকভাবে সম্ভব নয়। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন কিংবা সাংবিধানিক রূপান্তরের একমাত্র বৈধ পথ একটি কার্যকর ও প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সংসদ। তাই সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদ গঠন জরুরি।
শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আয়োজিত মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রেখে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয় নয়; এর মূলেই রয়েছে নাগরিক অধিকার রক্ষা। প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের, যেখানে ধর্ম, বর্ণ বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। বাংলাদেশের প্রত্যেকের পরিচয় একটাই—এই দেশের নাগরিক।
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তুলে তিনি বলেন, সেই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ন্যায়ভিত্তিক, আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গঠনে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ যেভাবে স্বাক্ষরিত হয়েছে, দল সেটিই বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত জনগণই মূল্যায়ন করবে। কারণ দেশের মালিক জনগণ, রাষ্ট্রের কাঠামো নির্ধারণের চূড়ান্ত এখতিয়ারও তাদের হাতে। জাতীয় সংসদবিহীন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সাংবিধানিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। গণভোট জনগণের মত প্রকাশের এক মাধ্যম হলেও আইন ও সংবিধান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যথাযথ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া সাংবিধানিক সংস্কার বৈধতা পায় না।
সিএ/এমআরএফ


