রোদ শুধু তাপ দেয় না, শরীরের জন্য এটি এক প্রাকৃতিক ওষুধও বটে। সঠিক সময়ে সূর্যের আলো গায়ে লাগালে শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পায়, মন ভালো থাকে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে অনেকেই জানেন না— কোন সময়ের রোদ শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী।
সকাল ৮টা থেকে ১০টা: ভিটামিন ডি পাওয়ার সেরা সময়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে। এই সময় সূর্যের আলো তুলনামূলক কোমল থাকে, ফলে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি ছাড়াই শরীর প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি তৈরি করতে পারে।
ভিটামিন ডি কেন জরুরি
ভিটামিন ডি শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণে সাহায্য করে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মানসিক অবসাদ কমানো এবং ঘুমের মান উন্নত করতেও সহায়তা করে। নিয়মিত রোদে থাকা মানুষের মধ্যে ক্লান্তি ও বিষণ্নতার প্রবণতা কম দেখা যায়।
কতক্ষণ রোদে থাকা উচিত
সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন, প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকা যথেষ্ট। মুখ, হাত ও পায়ের কিছু অংশ খোলা রাখলেই শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। তবে দুপুরের দিকে দীর্ঘ সময় রোদে থাকা এড়িয়ে চলাই ভালো।
দুপুরের রোদ কেন ক্ষতিকর
দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সূর্যের আলোতে অতিবেগুনি রশ্মি (UV rays) সবচেয়ে তীব্র থাকে। এই সময় রোদে দাঁড়ালে ত্বক পুড়ে যাওয়া, মেলানিন ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, এমনকি ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
রোদে থাকার সময় করণীয়
ত্বকে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগান যাতে শুষ্কতা না বাড়ে। চোখ রক্ষায় সানগ্লাস ব্যবহার করুন। রোদে দাঁড়ানোর পর ঘাম ঝরানো অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভালো— এতে হঠাৎ তাপমাত্রার পার্থক্যে মাথাব্যথা বা সর্দি হতে পারে।
যাদের রোদে থাকা সীমিত রাখা উচিত
ত্বকের অ্যালার্জি, অতিসংবেদনশীল ত্বক বা স্কিন ক্যানসার ও লুপাসের মতো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রোদে না যাওয়াই উত্তম।
রোদ আমাদের শত্রু নয়— বরং প্রাকৃতিক শক্তির উৎস। তাই সকালে কয়েক মিনিট সূর্যের আলো গায়ে লাগিয়ে দিন শুরু করুন; শরীরও সতেজ থাকবে, মনও হবে প্রফুল্ল।
সিএ/এমআর


