স্ট্রোক এখন শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়। অনেক সময় ২০–৪০ বছর বয়সী তরুণরাও হঠাৎ স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন আছে, তাদের ঝুঁকি আরও বেশি। তবে কিছু সচেতনতা আর সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
স্ট্রোকের প্রধান দুই প্রকার:
- ইস্কেমিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে ঘটায়।
- হেমারেজিক স্ট্রোক: দুর্বল রক্তনালি ছিঁড়ে মস্তিষ্কে রক্তপাত হলে হয়।
রক্তচাপ ও স্ট্রোকের সম্পর্ক:
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। প্রেশারের ওষুধ নিয়মিত নেওয়া এবং প্রেশার পরীক্ষা করা জরুরি। গর্ভাবস্থা বা অসুস্থতার কারণে প্রেশার বেড়ে গেলে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
তরুণরাও কেন আক্রান্ত হচ্ছেন:
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ
- অলস জীবনযাপন ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
- অনিয়মিত ঘুম
- দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা
ঝুঁকি বাড়ানো অভ্যাস:
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখা: নিয়মিত প্রেশার মাপুন, ওষুধ ঠিকভাবে নিন।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত লবণ, জাঙ্ক ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- শরীরচর্চার অভাব: হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করুন।
- ধূমপান ও মদ্যপান: রক্তনালিকে দুর্বল করে, এড়িয়ে চলুন।
নিজেকে নিরাপদ রাখার উপায়:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান
- প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন
- পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক বিশ্রাম নিন
- নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন
- কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেরি না করে যোগাযোগ করুন
সঠিক অভ্যাস গড়ে তুললেই তরুণ বয়সেও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। নিজের যত্ন নিন, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন, সুস্থ থাকুন।
সিএ/এমআর


