ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। এটি প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম সচল রাখে। এছাড়া চোখ, মস্তিষ্ক, লিভার ও শক্তি ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলোকে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে টানা দুই সপ্তাহ ডিম খাওয়ার উপকারিতা:
১. দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষা:
ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ও ক্যাটারাক্টের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয়।
২. মস্তিষ্ক ও লিভারের সাপোর্ট:
ডিমে প্রচুর কোলিন থাকে, যা মেমোরি, ফোকাস ও ব্রেন-হেলথ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া কোলিন ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়। ভারসাম্যহীন খাদ্যাভ্যাস, কম নড়াচড়া এবং স্ট্রেসের কারণে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়লেও ডিম তা কমাতে সহায়ক।
৩. কোলেস্টেরল ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:
ডিম খেলে কেবল ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়, যা হার্টের জন্য উপকারী। সকালে ডিম খেলে রক্তে গ্লুকোজ স্থিতিশীল থাকে, সারাদিন শক্তি বজায় থাকে এবং ক্লান্তি কমে।
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ডিম যোগ করা স্মার্ট এবং স্বাস্থ্যকর একটি সিদ্ধান্ত। তবে যারা অ্যালার্জি, কিডনি সমস্যা বা বিশেষ ডায়েট মেনে চলেন, তাদের ক্ষেত্রে ডিমের পরিমাণ নির্ধারণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
সিএ/এমআরএফ


