জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জোহর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অংশ নেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদকে অবহিত করেন।
আইন উপদেষ্টা জানান, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভা শুরু হয় এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে। সভায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বুধবার থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। একই সঙ্গে বুধবার এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সভা শেষে ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল বলেন, গোটা জাতির মতো সরকারে যারা দায়িত্বে আছেন তারাও গভীরভাবে শোকাহত। সরকার জানাজা ও দাফন উপলক্ষে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বেগম খালেদা জিয়ার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি জানান, সর্বশেষ সেনাসদরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং সেদিনের স্মৃতিও সভায় তুলে ধরেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, দেশের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার অবদান অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। এমন একজন নেত্রীর প্রয়াণ জাতির জন্য একটি বিশেষ ও শোকাবহ মুহূর্ত। তিনি সবাইকে জানাজা ও দাফনে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও হাইকমিশনে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক বই খোলা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গোটা জাতি আজ গভীর শোক ও বেদনায় আচ্ছন্ন। তাঁর ইন্তেকালে আমরা এক মহান অভিভাবককে হারিয়েছি। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে তাঁর অবদান ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।
সিএ/এএ


