দেশি ও বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় ক্রমেই বাড়ছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে এই খাতে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছরে পরিচালন বাজেটের একক খাত হিসেবে সর্বাধিক ২৮ শতাংশ ব্যয় হয়েছে সুদ পরিশোধে। এর মধ্যে দেশি ঋণের সুদ বাবদ গিয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ১৭ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আগের ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এই খাতে ব্যয় হয়েছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাজস্ব আদায় কাঙ্ক্ষিত হারে না বাড়ায় সরকারের বার্ষিক ঋণ নির্ভরতা বেড়েছে। এর ফলে দেশি ও বিদেশি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সঙ্গে বাড়ছে সুদ পরিশোধের বোঝা। বর্তমানে পরিচালন বাজেটের সবচেয়ে বড় ব্যয়খাত হয়ে উঠেছে সুদ পরিশোধ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ ঋণ টেকসইতা বিশ্লেষণ (ডিএসএ) অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন মধ্যম ঝুঁকির দেশ হিসেবে বিবেচিত। অর্থাৎ, রফতানি আয় ও রাজস্ব আয়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে।
অর্থ বিভাগের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর শেষে সরকারের দেশি ও বিদেশি ঋণের মোট পরিমাণ দাঁড়াবে ২৩ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকায়।
সিএ/এমআরএফ


