বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে আত্মহত্যা নয়, এবার ‘হত্যা মামলা’ হিসেবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রমনা থানা ১১ জনকে আসামি করে মামলার তদন্তে নামে। এরই মধ্যে আসামিদের দেশত্যাগে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে পুলিশের আনুষ্ঠানিক চিঠি।
রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, মামলার আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। কয়েকজন আসামি দেশের বাইরে থাকলেও, যারা দেশে আছেন তাদের অবস্থান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, মামলার ১১ নম্বর আসামি রেজভী আহমেদ ফরহাদের পুরোনো জবানবন্দি আবারও আলোচনায় এসেছে। ১৯৯৭ সালে দেওয়া ১৬৪ ধারার সেই জবানবন্দিতে রেজভী স্বীকার করেছিলেন, সালমান শাহর মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, বরং এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা।
রেজভী জানান, সালমান শাহকে হত্যার জন্য ১২ লাখ টাকায় একটি চুক্তি করা হয়েছিল, যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন সালমানের শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এ হত্যাকাণ্ডে আরও জড়িত ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডন, ডেভিড, ফারুক ও জাভেদসহ কয়েকজন।
নতুন করে তদন্ত শুরুর পর সালমান শাহর মৃত্যু রহস্য আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।
সিএ/এমআর


