২০২৫ সালে সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসীর মধ্যে সর্বোচ্চ স্থান দখল করেছে বাংলাদেশি নাগরিকরা। ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ হাজার ৪৭৬ জন বাংলাদেশি সমুদ্রপথে ইতালি উপকূলে পৌঁছেছেন। এটি অন্যান্য দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
২০২৫ সালে ইতালিতে মোট ৫১ হাজার ৮৫৫ জন অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের ৫১ হাজার ৩৪১ জনের তুলনায় সামান্য বেশি। তবে এই মোট সংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশিদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে; গত বছরের ৮ হাজার ৫২৬ জন থেকে বেড়ে এ বছর ১৫ হাজার ৪৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ইতালিতে আগত মোট অভিবাসীর প্রায় ৩০ শতাংশই বাংলাদেশি।
বাংলাদেশের পরই সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী এসেছে ইরিত্রিয়া (৭ হাজার ৯০ জন) এবং মিসর (৬ হাজার ৫৫৮ জন) থেকে। এছাড়া পাকিস্তান, সুদান, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, তিউনিশিয়া, ইরান, সিরিয়া, গিনি, আলজেরিয়া, নাইজেরিয়া, মালি ও আফগানিস্তান থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছেন।
মে থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অভিবাসনের ধারা সবচেয়ে বেশি ছিল। মে মাসে ৭ হাজার ১৭৮ জন, জুনে ৭ হাজার ৮৯ জন, জুলাইয়ে ৬ হাজার ৪৮৭ জন, আগস্টে ৬ হাজার ১৪৬ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৩১৫ জন ইতালিতে পৌঁছান। অক্টোবরের প্রথম দিকে আগমন কিছুটা কমেছে।
এছাড়া অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক একক অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে; ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ হাজার ১৫৬ শিশু ইতালিতে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের ৮ হাজার ৭৫২ জনের তুলনায় সামান্য বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরোপীয় সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হলেও বাংলাদেশের অভিবাসন প্রবাহে তা তেমন প্রভাব ফেলেনি। বরং দক্ষিণ এশীয় অভিবাসনের নতুন ধারা ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
সিএ/এমআর