শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ১৬ রান। সমীকরণ সহজ হলেও আগের কয়েক ওভারে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে টানা দুই ছক্কায় চাপে ফেলে দেন নুরুল হাসান সোহান। এরপর রিশাদ হোসেনের ব্যাটে আসে বাউন্ডারি। ৮ বল বাকি থাকতেই ১৫৩ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ, জিতে নেয় ৬ উইকেটে।
শারজাহতে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে গড়েন শতরানের জুটি। তামিম ফেরেন ৫১ রানে, ইমন ৫৪ রানে। এরপরই ঘটে ধস। মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলি অনিক ও তানজিম সাকিব। ভয়ংকর হয়ে ওঠেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। তার শিকার ৪ উইকেট। ১০৯ থেকে ১১৮ রানের মধ্যে ৬ ব্যাটার আউট হয়ে ম্যাচটা প্রায় হাতছাড়া করে বসেছিল বাংলাদেশ।
তবে ঠান্ডা মাথায় খেলেছেন সোহান ও রিশাদ। সোহান ১৩ বলে ২৩ ও রিশাদ ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রান করে আফগানিস্তান। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। এছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ২৫, আর অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবি শেষ দিকে ২৫ বলে ৩৮ রান করে দলকে লড়াইয়ে রাখেন। নাসুম আহমেদ বল হাতে শুরুতে এনে দেন ব্রেকথ্রু, পরে শারজাহর উইকেটে তাসকিন আহমেদও তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানের ১৫২ রানের লক্ষ্য ৮ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সিএ/এমআরএফ