সিলেট টাইটানসের কাছে টানা প্রথম জয় হাতছাড়া হওয়ার এক মুহূর্তে মেহেদী হাসান রানা ম্যাচের নাটকীয়তা তৈরি করেছিলেন। ইনিংসের ১৮তম হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পারফরম্যান্সও দলের জয় এনে দিতে পারল না।
শেষ ৬ বলে ১৩ রানের সমীকরণে রোমাঞ্চ জমে ওঠে। ওভার করতে এসে প্রথম দুই বলে কোনো রান পাননি সাব্বির হোসেন। তৃতীয় বৈধ বলে হাই ফুলটস নো বল দিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। ফ্রি হিটে ইথান ব্রুকস ছক্কা হাঁকান। ফিরতি বলে চার মেরে সমীকরণ আসে ২ বলে ২। পঞ্চম বলে কোনো রান দেননি সাব্বির। কিন্তু ব্রুকসকে রান আউট করে ম্যাচ জমিয়ে দেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিক।
শেষ বলে ২ রানের সমীকরণে ফিরতি বলে ওয়াইড দিয়ে বসেন সাব্বির। সালমান এরশাদের পায়ে লেগে বাই রান হিসেবে ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা মোহাম্মদ আমির রান নেন। নোয়াখালীর অধিনায়ক সৈকত আলী রিভিউ নিলেও কোনো লাভ হয়নি। ফলে প্রথম জয় এক উইকেটের ব্যবধানে নিশ্চিত হয় সিলেটের। বিপিএলের ইতিহাসে নবম বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করা রানা এই ম্যাচে বোলিংয়ে বড় অবদান রেখে যায়, কিন্তু শেষ হাসি দলের হয়নি।
ব্রুকসের শেষ ওভারে ছক্কা ও চারের সৌজন্যে টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে দ্বিতীয় পরাজয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রান করেন তিনি। শেষ ওভার পর্যন্ত ২৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণও ছিল।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সিলেট। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে ৮৩ রানের জুটি গড়ে জয় নিশ্চিত করেন ইমন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়ক মিরাজ ৩৩ রান করেন। নোয়াখালীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন হ্যাটট্রিকম্যান রানা।
এর আগে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ দাঁড়ায় নোয়াখালীর। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন অঙ্কন। সিলেটের হয়ে এক ওভার মেডেন দিয়ে ২৩ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ম্যাচসেরা পেসার খালেদ আহমেদ।
সিএ/এএ


