ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সবার জানা, তবে অনেকেই বুঝতে পারেন না—ধূমপান বন্ধ করার পর শরীর কত দ্রুত সুস্থ হতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উন্নতি হয় চোখে পড়ার মতো।
অ্যানেস্থেশিয়া ও পেইন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. কুনাল সুধ জানান, ধূমপান শুধু ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না; এটি ফুসফুসকে শক্ত, কম নমনীয় এবং সংকুচিত করে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। দীর্ঘমেয়াদি ধূমপানের ফলে দেখা দিতে পারে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, অতিরিক্ত মিউকাস জমা, ব্রঙ্কাইটিস, এমফিসেমা এবং ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি। এছাড়া ধূমপান ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল করে দেয়, ফলে সংক্রমণ বেশি হয় এবং সুস্থ হতে সময় লাগে।
ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীর যেভাবে সুস্থ হয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করলেই শরীর নিজের ক্ষত সারানোর কাজ শুরু করে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হয়, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত হয়। শরীরের শক্তিও ধীরে ধীরে ফিরে আসে।
সুস্থতার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- প্রয়োজনে পেশাদার সহায়তা নিন
- নিয়মিত কার্ডিও ব্যায়াম করুন
- প্রতিদিন শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অভ্যাস করুন
- গাট-লাং অ্যাক্সিস ভালো রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, যা শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ফুসফুসকে সাপোর্ট করে
ধূমপান শরীরের প্রায় সব অঙ্গেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রে। তবে সুখবর হলো—ধূমপান ছাড়ার পরই শরীর দ্রুত নিজেকে মেরামত করতে শুরু করে, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এর ফল দেখা যায়। তাই যেকোনো সময় ধূমপান ছেড়ে দেওয়া হতে পারে আপনার সুস্থ ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
সিএ/এমআরএফ


