কিডনি ক্যানসারকে অনেক সময় ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কারণ শরীরে রোগটি সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘ সময় কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। এতে দেরিতে ধরা পড়লে চিকিৎসা আরও জটিল হয়ে ওঠে। তবে চিকিৎসকদের মতে, কয়েকটি সাধারণ উপসর্গ আগে থেকেই সতর্ক সংকেত দেয়।
১) প্রস্রাবে রক্ত
প্রস্রাবে রক্ত দেখা দেওয়া কিডনি ক্যানসারের অন্যতম সাধারণ লক্ষণ। এ সময় প্রস্রাবের রং লাল, বাদামি বা গোলাপি হতে পারে এবং ব্যথা না-ও থাকতে পারে। কয়েকদিন পর স্বাভাবিক হয়ে গেলেও এই লক্ষণ অবহেলা করা বিপজ্জনক।
২) পিঠ বা পাশের স্থায়ী ব্যথা
পিঠের নিচের দিকে বা পাশের অংশে যদি কোনো আঘাত ছাড়াই দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অনুভূত হয় এবং তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, তবে তা কিডনির টিউমারের ইঙ্গিত হতে পারে।
৩) অকারণে ওজন কমে যাওয়া
খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই দ্রুত ওজন কমতে থাকলে সতর্ক হতে হবে। ক্যানসারের প্রভাবে শরীরের বিপাকক্রিয়া বদলে গিয়ে ক্ষুধা কমে যায় ও শরীর দুর্বল হয়।
৪) কিডনির পাশে ফোলাভাব বা চাকা
পাঁজরের নিচে বা কিডনির আশপাশে চাকা বা ফোলা অনুভব হলে পরীক্ষা করানো জরুরি। ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই চাকা সময়ের সাথে বড় হতে থাকে।
৫) অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা
কিডনি ক্যানসার রক্তে হিমোগ্লোবিন কমিয়ে অ্যানিমিয়া তৈরি করে। ফলে অস্বাভাবিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়, যা বিশ্রামেও কমে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে কিডনি ক্যানসার চিকিৎসায় সাফল্যের হার অনেক বেশি। তাই এসব লক্ষণ অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
সিএ/এমআরএফ


