বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি নগরবাউল জেমস আজ ৬১ বছরে পা রাখলেন। তবে জন্মদিনে নেই কোনো বিশেষ আয়োজন।
ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস, সংগীতাঙ্গনে যিনি নগরবাউল এবং ভক্তদের কাছে ‘গুরু’ নামেও পরিচিত। ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করলেও শৈশব-কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে।
ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি প্রবল টান থাকায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন তিনি। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং থেকে শুরু হয় তার সংগীতজীবন। বন্ধুদের নিয়ে ১৯৮০ সালে গড়ে তোলেন ‘ফিলিংস’ ব্যান্ড, যার নাম পরে পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘নগরবাউল’।
প্রথম অ্যালবাম স্টেশন রোড শ্রোতাদের মন ছুঁতে না পারলেও ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত অনন্যা অ্যালবাম দিয়েই তিনি সুপারহিট হয়ে ওঠেন। এরপর একে একে উপহার দেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। নব্বইয়ের দশকজুড়ে তার গানের জয়জয়কার ছিল তরুণদের কণ্ঠে।
জেমস শুধু গায়ক নন, গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও তার অবদান অনন্য। কবি শামসুর রাহমান, প্রিন্স মাহমুদ, সিবলির লেখা গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও লিখেছেন ও সুর করেছেন। চলচ্চিত্রের গানেও রেখেছেন স্বাক্ষর—দেশ: দ্য লিডার ও সত্তা সিনেমায় গান করে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
দেশের বাইরে বলিউডে গান গেয়ে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ভিগি ভিগি, চল চলে, আলবিদা, রিশতে—এসব গান তাকে ভারতীয় উপমহাদেশজুড়ে জনপ্রিয় করে তোলে।
তার বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে আছে—দুষ্টু ছেলের দল, বিজলি, বন্ধু আসবে বহুদিন পরে, আমি তোমাদেরই লোক, জনতা এক্সপ্রেস, তুফান, এত কষ্ট, আমি তোর মনের মতো হতে পারলাম নারে, তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম, ফুল নেব না অশ্রু নিব বন্ধু ইত্যাদি।
সিএ/এমআরএফ