Home বিনোদন অনুশীলন মানুষকে উপযুক্ত করে তুলে আমার ক্ষেত্রেও তা হয়েছে

অনুশীলন মানুষকে উপযুক্ত করে তুলে আমার ক্ষেত্রেও তা হয়েছে

0

মেঘলা মুক্তা একজন বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী। র‌্যাম্পে মডেলিং দিয়েই অভিনয় যাত্রা শুরু করেন এই অভিনেত্রী। ২০১৪ সালে আমি শুধু চেয়েছি তোমায় এ শাকিব খানের নবাব ছবিতেও দেখা গেছে তাকে। কিন্তু এবার দেশে নয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে তেলেগু সিনেমায় প্রধাণ নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছে মেঘলা মুক্তা। একজন পুলিশ অফিসারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে করেছেন তিনি। ছবিটির নাম ‘সাকালা কালা ভাল্লাভুডু’ ছবিটি পরিচালনা করেছেন শিভা গণেশ। দক্ষিণ ভারতে প্রায় দেড়শ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছি ছবিটি৷ তেলেগু ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথোপকথন হয় তার সাথে…..

সীমান্ত: বাংলাদেশি অভিনেত্রী হিসেবে দেশের বাইরে দেড়শ প্রেক্ষাগৃহে নিজের অভিনীত ছবি দর্শক দেখে হাত তালি দিচ্ছে অনুভূতিটা কেমন?
মেঘলা মুক্তা: অনূভুতিটা আসলে শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যাবে নাহ। আমি যখন ওইখানে খুবই আনন্দিত ছিলাম। আমি খুবই কৃতজ্ঞ ওই ইন্ডাস্ট্রির কাছে। অনূভুতিটা শব্দ দিয়ে বলা খুবই মুশকিল।

সীমান্ত: প্রায় ২০ দিন হয়ে গেলো ছবিটা মুক্তি পেয়েছে দর্শক মহলে কেমন সাড়া ফেলেছে?
মেঘলা মুক্তা: বেশ ভালো যদি ৫ এ নাম্বার দিতে বলেন তাহলে ৪ দিবো।

সীমান্ত: তেলেগু ছবিতে অভিনয় করার জন্য অবশ্যই তেলেগু ভাষায় কথা বলতে হয়েছে কি ভাবে সম্ভব হলো?
মেঘলা মুক্তা: আমি অনেক অনুশীলন করেছি কথায় আছে নাহ অনুশীলন মানুষকে উপযুক্ত করে তুলে আমার ক্ষেত্রেও তা হয়েছে৷ আমি প্রথমে বারবার আমার স্ক্রিপ্টটা পড়েছি তারপর ডায়লগ গুলো বারবার অনুশীলন করেছি৷

সীমান্ত: তানিস্ক রেড্ডির সাথে জুটিটা কেমন হয়েছিলো?
মেঘলা মুক্তা: খুবই ভালো। আমার মনে হয় নিহ আমি ওই খানে নতুন। আমার সাথে তার প্রথম দিনেই অনেক ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় তারপর আমাদের দুজনের জন্যই কাজ করা আরো সহজ হয়ে যায়।

সীমান্ত: পরিচালক শিক গণেশের সাথে কাজ করার অনূভুতি কেমন ছিলো?
মেঘলা মুক্তা: খুবই অসাধারণ ছিল কেননা আমি ওই ইন্ডাস্ট্রি তে নতুন সেহেতু আমার টিম, আমার হিরো, আমার পরিচালক সবাই আমাকে নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেছে।

সীমান্ত: এখন নিয়মিতই তেলেগু ছবিতেই কাজ করবেন কি?
মেঘলা মুক্তা: ইনশাআল্লাহ আশা রাখছি।

সীমান্ত: শুটিং করার সময় মজার কোন ঘটনা?
মেঘলা মুক্তা: আসলে এটা মজার ঘটনা বলা যায় নাহ আবার ভয়ংকরও নাহ এককথায় অদ্ভুত। আমাদের গানের শুটিং হচ্ছিল কেরালাতে, তখন বর্ষাকাল ছিল তাই প্রচুর বৃষ্টি ছিল। আমি হঠাৎ অনুভব করছি আমার পায়ের নিচে কিছু একটা আছে। শুটিং ইউনিটের সবাই দৌড়ে আসলো, তখন আমার পায়ের নিচে ৫/৬ জোক। আমি যেহেতু আগে কখনও জোক দেখি নাই সেহেতু এটা আমার জন্য অদ্ভুত একটা ঘঘটনা ছিল।

সীমান্ত: বাংলাদেশি কোন পরিচালকের কাছ থেকে কোন ছবিতে কাজ করার অফার পেয়েছেন?
মেঘলা মুক্তা: এখনো পাইনি কিন্তু আশা রাখছি।

সীমান্ত: আপাতত ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?
মেঘলা মুক্তা: একটা ইন্ডাস্ট্রিতে যেমন ঢুকেছি শ্রদ্ধার সাথে কাজ করতে পারি। ভবিষ্যতে যেন আরো ভালোকাজ দর্শকের উপহার দিতে পারি এই চেষ্টাই করবো।

সাক্ষাতকার নিয়েছে: গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version