টেকসই সবুজ যাতায়াত নিশ্চিত করা এবং গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়াতে রবি আজিয়াটা পিএলসি এক নতুন ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কার্যক্রম আরও দ্রুত, পরিবেশবান্ধব ও কার্যকর করতে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে পরিবেশবান্ধব ‘রবি সুপার বাইক’।
সারা দেশের থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে রবির ফিল্ড অফিসাররা এখন থেকে এই ই-বাইক ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছে আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সেবা পৌঁছে দিতে পারবেন।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবুজ উদ্যোগ
রবির এ কর্মসূচি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত মোটরসাইকেলে যেখানে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কার্বন নিঃসরণ, সেখানে রবি সুপার বাইক সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক হওয়ায় কার্বন নিঃসরণের ঝুঁকি নেই।
ফলে পরিবেশ সুরক্ষায় এটি বড় ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ডিজিটাল সচেতনতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে উদ্যোগটি।
রবি আজিয়াটা পিএলসি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ বলেন,
“রবি সুপার বাইক আমাদের টেকসই মোবিলিটি এবং গ্রামীণ অঞ্চলে সেবা আরও শক্তিশালী করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পরিবেশবান্ধব ই-বাইকের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানোর পাশাপাশি আমরা দূর-দূরান্তের গ্রাহকদের কাছে আরও দ্রুত, কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য সেবা পৌঁছে দিতে পারছি।”
ফিল্ড অফিসারদের সুবিধা বাড়াতে উন্নত ফিচার
রবি সুপার বাইকে মাঠকর্মীদের প্রয়োজন বিবেচনায় যোগ করা হয়েছে নানা আধুনিক ফিচার—
কনভার্টেবল কার্গো বক্স
রবি ব্র্যান্ডের ছাতা
ফোল্ডেবল টুল
মোবাইল ও ল্যাম্প চার্জিং সুবিধাসহ ইউএসবি পোর্ট
জনসচেতনতায় অডিও হ্যান্ড মাইক
নিরাপত্তায় ফেস রিকগনিশন আনলক সিস্টেম
জিও-ফেন্সিং ও রিয়েল-টাইম মুভমেন্ট ট্র্যাকিং
পরিবেশবান্ধব যানবাহনে বিনিয়োগের মাধ্যমে রবি শুধু কার্বন নিঃসরণই কমাচ্ছে না, বরং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও সবুজ উদ্যোগের সমন্বয়ে ‘রবি সুপার বাইক’ গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সিএ/এএ


