বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে পতিত আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সংগঠনটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। মিছিলে হাজার হাজার জনসাধারণ অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা বাঁশের লাঠি হাতে নিলেন এবং সরকারের অবহেলা ও রাজনৈতিক অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুলাই ঐক্যের নেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৃহস্পতিবার থেকে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে বলে ঘোষণা করেন।
জুলাই ঐক্যের নেতারা বলেন, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন এখনও নাশকতা চালাচ্ছে, মানুষের জীবনে ভয় ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। তারা আরও বলেন, সরকার প্রধানের দৃশ্যমান বিচার না হওয়ায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জুলাই সনদ ছাড়া কোনো নির্বাচন বৈধ হবে না। দেশের সকল নির্বাচনী কার্যক্রম কেবল জুলাই সনদের ভিত্তিতেই সম্পন্ন হতে হবে।’
এর আগে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শাহবাগ পর্যন্ত লাঠি মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারীরা জাতীয় পতাকা বহন করেন। শাহবাগ মোড়ে এসে মিছিল সমাবেশে পরিণত হয়, যেখানে নেতারা সরকারের নীতিমালা, দেশব্যাপী নাশকতা ও সামাজিক ন্যায়ের অভাব নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। তারা জনগণকে সমবেত হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
সংগঠনটি বলেছে, সরকারি কর্মকাণ্ডে অনিয়ম ও রাজনৈতিক চাপ দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই জুলাই ঐক্য দেশের সকল নাগরিককে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং সরকারের অবিলম্বে ন্যায় বিচার প্রক্রিয়া কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছে। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এই গণঅবস্থান কর্মসূচি সরকারের অবহেলা ও নাশকতা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সিএ/এমআরএফ


