ঢাকার বারিধারায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হঠাৎ করে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে দূতাবাসটির নিরাপত্তায় যুক্ত হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষায়িত সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দূতাবাস এলাকায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) টিম ও গুলশান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজে উপস্থিত থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছেন। পুরো এলাকা ঘিরে চলছে কঠোর নিরাপত্তা চেকপোস্ট, বাড়ানো হয়েছে টহলও।
গুলশান বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আলী আহমেদ মাসুদ জানান, “এটি আমাদের রুটিন নিরাপত্তা কার্যক্রমের অংশ। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা নিরাপত্তা জোরদার করি। বর্তমানে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন রয়েছে, আমিও ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।”
তবে পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন দূতাবাসে সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা করছিল একটি গোষ্ঠী। এ সংক্রান্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকের নাম, ছবি ও ঠিকানাসহ তথ্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই তথ্য পাওয়ার পরই দূতাবাস থেকে ডিএমপি বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ জানানো হয়।
এরপর পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে ডিএমপি, সিটিটিসি, এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ যৌথভাবে নিরাপত্তা জোরদার করে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাতেই দূতাবাস এলাকায় উপস্থিত হন এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টার পর থেকেই দূতাবাস এলাকায় পর্যায়ক্রমে সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম মোতায়েন শুরু হয়। রাতভর চলে নিরাপত্তা তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম। ফলে পুরো এলাকা পরিণত হয় উচ্চ নিরাপত্তা জোনে।
বর্তমানে বারিধারা কূটনৈতিক এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথে স্থাপন করা হয়েছে চেকপোস্ট, গাড়ি ও পথচারীদের তল্লাশি চলছে। এদিকে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্ভাব্য হামলার হুমকি সম্পর্কে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই করছে বলে জানা গেছে।
সিএ/এমআর


