ব্রিসবেনে শুরু হতে যাওয়া দিবা–রাত্রির অ্যাশেজ টেস্টকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—অধিনায়ক প্যাট কামিন্স কি খেলবেন? স্কোয়াডে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম নেই, কিন্তু নেটে তার তীব্র বোলিং ও দীর্ঘ ব্যাটিং সেশন নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ব্যাক ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পথে থাকায় কামিন্সকে এখনো দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়নি। তবে পুরো সপ্তাহ ধরেই নেটে তার সক্রিয় উপস্থিতি আশার সঞ্চার করেছে। তবু ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এই রহস্য দূর না করে বরং আরও বাড়িয়ে দিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
স্মিথ জানান, কামিন্স পুরোপুরি প্রস্তুত হলে অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে তিনি এখনই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে রাজি নন।
স্মিথ বলেন, ‘এখনও অনেক কিছু বিবেচনায় আছে, বিস্তারিত বলতে পারছি না।’
কামিন্সের নেট বোলিং দেখে স্মিথের ধারণা, তিনি দ্রুতই ফিরে আসতে পারেন। ‘নেটে ও খুব ভালো বল করছে। ম্যাচের চাপ আলাদা, তবে সে নিজের শরীর সম্পর্কে ভালোই জানে,’ যোগ করেন তিনি।
এদিকে ব্যাটিং অর্ডার বিতর্কেও মত দিয়েছেন স্মিথ। ট্রাভিস হেডের ‘ব্যাটিং অর্ডার অতিমূল্যায়িত’ মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চললেও স্মিথ মনে করেন, স্থির ব্যাটিং পজিশন ব্যাটসম্যানের মানসিক প্রস্তুতিকে আরও শক্ত করে।
গোলাপী বলের ম্যাচ হওয়ায় রাতের সেশনে বিশেষ পরিকল্পনা থাকতেও পারে বলে ইঙ্গিত দেন স্মিথ। এমনকি অতীতে দুটি নাইটওয়াচম্যান পাঠানোর কথাও ভাবা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
নিজের প্রস্তুতি নিয়েও জানান স্মিথ। আলো কমাতে এবার তিনি চোখের নিচে ‘আই ব্ল্যাক’ টেপ ব্যবহার করবেন—যা নিয়ে তিনি পরামর্শ নিয়েছেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি শিভনারাইন চন্দরপলের কাছ থেকে।
গোলাপী বলের চ্যালেঞ্জ, কন্ডিশন–নির্ভর লড়াই আর কামিন্সকে ঘিরে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে ব্রিসবেন টেস্টের আগেই উত্তেজনা চরমে। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব।


