আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে আইসিসি। সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্টের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে টাইগাররা।
টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস। একই দিন শিরোপাধারী ভারত নামবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মুম্বাইয়ে। সূচি ঘোষণার পর সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের বিকল্প ভেন্যু নির্ধারণ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে সেমিফাইনালসহ তাদের সব নকআউট ম্যাচ হবে কলম্বোতে। আর পাকিস্তান না উঠলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ভারতের আহমেদাবাদে। ভারত সেমিফাইনালে উঠলে তাদের খেলা হবে মুম্বাইয়ে; তবে ভারত–পাকিস্তান সেমিফাইনাল হলে ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হবে কলম্বোতে।
বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ রয়েছে গ্রুপ ‘সি’-তে। সেখানে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে নেপাল ও ইতালি। বিশ্লেষকদের মতে, গ্রুপটি বাংলাদেশকে সম্ভাবনা ও কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি করবে।
গ্রুপ ‘এ’-তে ভারত ও পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী লড়াই দেখতে পাওয়া যাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি কলম্বোয়। গত আসরে পাকিস্তানকে হারানো যুক্তরাষ্ট্রও এবার বড় চমক দেখাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রুপ ‘বি’-তে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা পড়েছে অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে ও ওমানের সঙ্গে। আর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড—এটিকে বলা হচ্ছে এবারের ‘গ্রুপ অব ডেথ’।
প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল যাবে সুপার এইটে। সেখান থেকে সেমিফাইনাল ও পরে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই। রাজনৈতিক উত্তাপ, সম্ভাব্য ভেন্যু পরিবর্তনের জটিলতা ও দর্শকদের উন্মাদনা—সব মিলিয়ে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে আলোচিত ও চমকপ্রদ এক আয়োজন।
বাংলাদেশ কি পারবে সুপার এইটের স্বপ্ন ছুঁতে? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে ফেব্রুয়ারি–মার্চের ৩৩ দিনের রোমাঞ্চে।
সিএ/এমআরএফ


