যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তৃতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যত নিয়ে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ লক্ষ্য করা গেছে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকটি ছিল উত্তপ্ত, স্পষ্ট এবং কিছুক্ষেত্রে অস্বস্তিকর। ট্রাম্প জেলেনস্কিকে সরাসরি জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনকে এমন কোনো দূরপাল্লার মিসাইল সরবরাহ করা হবে না, যা রাশিয়ার অন্তর্গত এলাকায় আঘাত করতে সক্ষম।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছে এবং শীতের মৌসুমে সম্ভাব্য হারের বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এই অবস্থায় দূরপাল্লার মিসাইল সরবরাহ করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ওপর জোর দিয়েছেন। তার অবস্থান অনুযায়ী, রুশ বাহিনী যেসব অঞ্চল দখল করেছে সেগুলোই তাদের অধীনে থাকবে এবং তাতে ভিত্তি করে যুদ্ধবিরতি করা হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প মনে করছেন, এ যুদ্ধ ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির কারণ হয়েছে। তাই এখনই রক্তপাত থামানো উচিত।
এছাড়া, বৈঠকের সময় দুই দেশের নেতারা যুদ্ধের কৌশল, সামরিক সমর্থন এবং আন্তর্জাতিক চাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সিএনএন জানায়, বৈঠকে কিছু সময় দুই নেতা মতভেদে পড়ে গেছেন, বিশেষ করে ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা যেখানে বেশি সামরিক সাহায্য চেয়েছিলেন, সেখানে ট্রাম্প প্রতিরোধমূলক অবস্থান নিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত কেবল সামরিক সহায়তার বিষয় নয়, বরং যুদ্ধকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা যায়। একই সঙ্গে এই পদক্ষেপ মার্কিন কংগ্রেস এবং আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ও জেলেনস্কি এ বৈঠকের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও আলোচনার জন্য পথপ্রদর্শন করেছেন, যদিও বৈঠক শেষে দুই পক্ষের অবস্থান কিছুটা ভিন্ন রয়েছে।
সিএ/এমআর