বিয়ে মানুষকে শালীন, পবিত্র ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনের পথে নিয়ে যায়। ইসলামে বিয়েকে গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময় ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যসম্পন্ন মানুষের জন্য বিয়ে করা ইমানি দায়িত্ব।
প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বিয়ের আগে নেওয়ার ৭টি জরুরি প্রস্তুতির পরামর্শ দিয়েছেন:
১. নিজেকে মুত্তাকি হিসেবে গড়ে তোলা
বিয়ের আগে নিজেকে পরহেজগার ও পাপের কাজ থেকে দূরে রাখা জরুরি। আল্লাহ ভালো মানুষদের সঙ্গে মিলিয়ে দেন, তাই আগে নিজের চরিত্র গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।
২. আল্লাহর কাছে দোয়া করা
ভালো জীবনসঙ্গীর জন্য নিয়মিত দোয়া করতে হবে। বিশেষ করে সুরা ফুরকান, ৭৪ নম্বর আয়াতের শেষ অংশ নিয়মিত পড়া উচিত।
দোয়া:
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা হাব লানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
৩. দ্বীনদার সঙ্গী খোঁজা
বিয়ে করার আগে জীবনসঙ্গীর দ্বীনদারিতা, তাকওয়া এবং সরলতাকে গুরুত্ব দিয়ে খোঁজা প্রয়োজন। দ্বীনদার জীবনসঙ্গী পেলে দাম্পত্য জীবন সুসংগত হয়।
৪. পার্টনারের অধিকার জানা
দাম্পত্য জীবনে নারী-পুরুষ একে অন্যের অধিকার বুঝে না চললে অশান্তি দেখা দেয়। কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী পার্টনারের অধিকার আগে থেকে জানা জরুরি।
৫. হালাল উপার্জন নিশ্চিত করা
ছেলেরা বিয়ের আগে হালাল উপার্জনের চেষ্টা করবে, যাতে স্ত্রী ও পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতে পারে। মেয়েরাও গৃহস্থালির কাজ ভালোভাবে জানলে সংসারে বনিবনা সহজ হয়।
৬. তালাকের মাসআলা জানা
বিয়ের আগে তালাক সংক্রান্ত বিধান ও মাসআলা জানা গুরুত্বপূর্ণ। কোন পদ্ধতি জায়েজ, কোনটি নাজায়েজ—সব বিষয় জানলে ভবিষ্যতে আফসোস কম হয়।
৭. পারিবারিক ব্যবস্থাপনা বোঝা
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি ও স্বামীর পরিবারের সাথে সম্পর্ক ও দায়িত্ব বোঝা জরুরি। কার সঙ্গে দেখা করা যাবে, কার সঙ্গে করা যাবে না—এগুলো শরিয়তের আলোকে জানা উচিত।
সিএ/এমআর