ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার আহ্বান জানাতে এবং দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ‘কঠোর বার্তা’ দিতে ইসরায়েল সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। তার এই সফরের পর ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নতুন উত্তেজনার মুখে পড়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের বার্তা নেতানিয়াহুর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ভান্স। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি চলমান থাকা সত্ত্বেও গত রোববার গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ৪০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হন। এই হামলায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল সাম্প্রতিক হামলায় “নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে” এবং এটি যুদ্ধবিরতির চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।
এছাড়া পশ্চিমতীরের আরও এলাকা দখল করার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে যে প্রাথমিক আইন পাস হয়েছে, তা নিয়েও গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, “ইসরায়েল পশ্চিমতীর অধিগ্রহণ করতে পারে না এবং এই ধরনের পদক্ষেপ অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, দখলদার ইসরায়েলের প্রায় সব নীতিতে দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন প্রশাসনের সমর্থন থাকলেও ট্রাম্প সরকারের এই অবস্থান একটি বড় নীতিগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইসরায়েল সফরের শেষ দিনে জেডি ভান্স সাংবাদিকদের বলেন, “পশ্চিমতীর দখলের আইন পাস করা আমার জন্য অপমানজনক। শান্তির পথে এগোনোর পরিবর্তে ইসরায়েল সংঘাতকে আরও তীব্র করছে।”
ওয়াশিংটন সূত্র জানায়, ভান্সের সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্র এখন মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন কূটনৈতিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার মূল লক্ষ্য ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি রক্ষা ও ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সিএ/এমআর


