ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ বন্ধ করে এবং ইসরায়েলকে দেওয়া সমর্থন প্রত্যাহার করে, তবেই তেহরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বিবেচনা করবে। তিনি সোমবার (৩ নভেম্বর) তেহরানে একটি ছাত্রসমাবেশে এ মন্তব্য করেন।
খামেনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ স্বভাব আত্মসমর্পণ ছাড়া কোনো কিছুই মেনে নেয় না। তিনি বলেন, যদি তারা পুরোপুরি ইসরায়েলি শাসনকে সমর্থন করা বন্ধ করে, এখানকার সামরিক ঘাঁটি সরিয়ে নেয় এবং অঞ্চলভিত্তিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে, তখন সহযোগিতা নিয়ে ভাবা যেতে পারে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল চালানো বিমান হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলেও পরে ২৪ জুন থেকে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ওই সংঘাতে উভয়পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখযোগ্য হিসাব রিপোর্ট করা হয়েছিল।
খামেনি বলেন, কোনো দেশ যদি শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং তার প্রতিপক্ষ বুঝতে পারে যে মুখোমুখি হয়ে তাদের ক্ষতিই হবে, তখন সেই দেশ নিরাপদ থাকবে—এমনটা নিশ্চিত হবে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে গেলে ইরানের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়; এরপর থেকে দেশটি অর্থনৈতিক চাপের মুখে আছে এবং এ বছরের সেপ্টেম্বরে কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়—যা কূটনৈতিক আলোচনাকে জটিল করেছে।
তৎপর্যপূর্ণভাবে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তেহরান এখনও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সীমিত পর্যায়ের আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বা অঞ্চলে প্রভাবশালী নীতিসমূহ নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা করতে রাজি নয়; তারা তখনই আলোচনায় ফিরবে যখন যুক্তরাষ্ট্র সমমর্যাদা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এগোবে—এমনটাই তাদের অবস্থান।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড
সিএ/এমআরএফ

                                    
