মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে কক্সবাজারের টেকনাফ। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৩টা ২৯ মিনিটে টেকনাফ থেকে ১১৮ কিলোমিটার দূরে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। ঝাঁকুনি খুব অল্প হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষ এটি অনুভব করতে পারেননি বলে জানায় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ প্ল্যাটফর্ম ভলকানো ডিসকভারি।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা সম্পর্কে ভলকানো ডিসকভারি তথ্য দিতে না পারলেও ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, অগভীর গভীরতায় ভূমিকম্প হলে এর প্রভাব বেশি হতে পারে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভূমিকম্পের মাত্রা বেড়েছে। গত শুক্রবার ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশ। এতে অন্তত ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার আরও তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভারতের জাতীয় ভূকম্পনবিদ্যা সংস্থা (এনসিএস) জানায়, ওইদিন বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪১ ও ৭টা ১৯ মিনিটে মিয়ানমারেও ৩ দশমিক ৫ ও ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা অনুযায়ী, বিপদের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। রাজউকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকার প্রায় ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এতে দুই লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


