যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার বলেছেন, ইসরায়েল যদি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে পরিপূর্ণভাবে মিলেমিশে থাকতে চায় তাহলে এখনই ফিলিস্তিনিদের জীবনমান উন্নত করতে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি এই মন্তব্য করেন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে।
সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে কুশনার বলেন, “যুদ্ধ শেষ হয়েছে — এখন ইসরায়েলকে এমন উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে ফিলিস্তিনিরা উন্নতি করতে পারে এবং ভালোভাবে বাঁচতে পারে।” তিনি আরও জানান, তিনি ও উইটকফ ইতোমধ্যে ইসরায়েলি নেতৃত্বকে এই বার্তাটি পৌঁছে দিচ্ছেন এবং সেখানে যৌথ নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগে টেকসই সহাবস্থানের সুযোগ তৈরি করার ওপর কাজ চলছে।
ফিলিস্তিনিরা ভবিষ্যতের কাঠামো নিজেদের মধ্যে নির্ধারণ করবে—এমন মন্তব্য করে কুশনার বলেন, তারা চাইলে রাষ্ট্রগঠন বা অন্য কোনো রূপ নির্ধারণ করতে পারবে। তিনি এটিও বলেন যে যুক্তরাষ্ট্র এমন পরিস্থিতি নির্মাণে কাজ করছে যেখানে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি জনগণ পাশাপাশি নিরাপদ ও টেকসইভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবে।
সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করা হয়, এই আলোচনার ধারাবাহিকতায় গাজার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হয় এবং জীবিত জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে হামাস এখনও গাজায় থাকা ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ সরবরাহ করেনি; হামাস বলছে ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মরদেহগুলো এখন দুষ্করতায় আছে, যেখানে ইসরায়েল এটিকে অস্বীকার করে দাবি করেছে অধিকাংশ মরদেহ তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। মধ্যস্থতাকারীরা বলেছেন যে আপাতত চুক্তি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে, তবে পরিস্থিতি পরিবর্তিতও হতে পারে—কুশনার এ দ্বিধামিশ্র সতর্কতা ব্যক্ত করেন।
সিএ/এমআর