সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের হতাশা পেছনে ফেলে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নতুন সিরিজে লড়ছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে সিরিজে এগিয়ে আছে টাইগাররা। তবে ম্যাচের ফলের চেয়েও বেশি আলোচনায় রয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কালো পিচ, যা দুই দলের ব্যাটিং-বোলিং ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে।
দীর্ঘ সময় পিচ কিউরেটরের দায়িত্বে থাকা গামিনি ডি সিলভাকে সরিয়ে আনা হয়েছে নতুন বিশেষজ্ঞ টনি হেমিংকে। তার হাতে স্পোর্টিং উইকেটের আশা করেছিল সবাই, কিন্তু প্রথম ম্যাচের পিচে হতাশ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। পুরো ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৮৮.৪ ওভারে মাত্র ৩৪০ রান ওঠে, যা পিচের ব্যাটিং-বান্ধব না হওয়ার প্রমাণ দিচ্ছে।
মিরপুরের কালো মাটির পিচে স্পিনারদের প্রভাবই বেশি দেখা যাচ্ছে। তাই সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোয় উভয় দলই স্পিন বিভাগে জোর দিচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দলে যোগ করেছে বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে, আর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে জায়গা পেয়েছেন তরুণ পেসার রামন সিমন্ডস।
বাংলাদেশও স্পিনে ভর করছে। দ্বিতীয় ম্যাচে দলে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা রয়েছে। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং তাসকিন আহমেদের বদলে তার খেলার সম্ভাবনাই বেশি। তার সঙ্গে থাকবেন তানভির ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানভীর ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাব্য একাদশ: ব্রেন্ডন কিং, অলিক আথানাজে, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শেরফান রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ, গুদাকেশ মোতি, জাস্টিন গ্রিভস, রোমারিও শেফার্ড, খারি পিয়েরে ও জেইডেন সিলস।
সিএ/এমআর