চিরচেনা চিত্রই আবারও দেখা গেল ক্রিকেট মাঠে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ভারতের জয়। নারী-পুরুষ, বয়সভিত্তিক বা আন্তর্জাতিক—যে কোনো পর্যায়েই একই ফল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়ে বড় জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারতের যুবারা।
সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে সব মিলিয়ে পাঁচবার মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই ভারতের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। সর্বশেষ হারটি এসেছে এই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেই। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ভারতের যুবাদের কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান।
গ্রুপ ‘এ’-তে দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে ভারত। চার পয়েন্ট নিয়ে তারা গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। সমান ম্যাচে দুই পয়েন্ট করে নিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে জয়ী দলই ভারতের সঙ্গে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেবে।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ২৪০ রানে অলআউট করতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তানের যুবারা। মোহাম্মদ সায়েম ও আব্দুল সুবহান তিনটি করে উইকেট নিয়ে দারুণ বোলিং করেন। তবে সেই ভালো শুরুর সুবিধা নিতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
২৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৫০ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন হুজাইফা আহসান। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। অন্য কোনো ব্যাটারই বড় অবদান রাখতে পারেননি।
ভারতের হয়ে দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান তিনটি করে উইকেট নেন। আগের ইনিংসে ব্যাট হাতে ৪৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন কনিষ্ক।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের পক্ষে অ্যারন জর্জ করেন ৮৫ রান। ১৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন কনিষ্ক চৌহান। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বিস্ময়বালক বৈভব সূর্যবংশী এদিন ব্যর্থ হয়ে করেন মাত্র ৫ রান।
ম্যাচ শেষে আলোচনায় আসে খেলোয়াড়দের আচরণও। টসের সময় এবং ম্যাচ শেষে ভারত ও পাকিস্তানের যুবারা কেউই হাত মেলাননি। ম্যাচের আগে আইসিসি আহ্বান জানিয়েছিল, রাজনীতি মাঠের বাইরে রেখে ছোটরা যেন বড়দের মতো আচরণ না করে। তবে সেই আহ্বানে সাড়া দেননি ভারতের অধিনায়ক আয়ুশ মাহাত্রে। টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক ফারহান ইউসুফের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে চলে যান তিনি। ম্যাচ শেষেও একই দৃশ্য দেখা যায়।
সিএ/এএ


