আজকাল সবকিছুই স্মার্টফোনে—কাজ, বিনোদন, পড়াশোনা থেকে শুরু করে কেনাকাটা পর্যন্ত। কিন্তু এসবের জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেট, আর মোবাইল ডেটার খরচ অনেক সময়ই বাজেটের বাইরে চলে যায়। ভাগ্যিস, কিছু সহজ কৌশল আছে, যা অনুসরণ করলে ডেটা অনেকটাই সাশ্রয় করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ১০টি কার্যকর উপায়—
১. দরকার না হলে ডেটা বন্ধ রাখুন
যখন ফোনে ইন্টারনেট লাগে না, তখন ডেটা অন রাখা মানেই অযথা খরচ। কাজ শেষে মোবাইল ডেটা বন্ধ রাখলে শুধু খরচই কমবে না, ব্যাটারিও বেশি সময় টিকবে।
২. অটো-আপডেট বন্ধ করুন
Play Store বা App Store থেকে অনেক সময় অ্যাপ নিজে থেকেই আপডেট হয়। এতে প্রচুর ডেটা শেষ হয়ে যায়। সেটিংসে গিয়ে Auto-update apps অপশনটি “Wi-Fi only” করে দিন।
৩. শুধু Wi-Fi তে অ্যাপ আপডেট করুন
যখনই অ্যাপ আপডেট করবেন, চেষ্টা করুন Wi-Fi কানেকশন থাকলে তবেই করুন। এতে মোবাইল ডেটা নষ্ট হবে না এবং আপডেটও দ্রুত হবে।
৪. কোন অ্যাপ কত ডেটা খরচ করছে, দেখে নিন
ফোনের সেটিংসে গিয়ে Data Usage অপশনে দেখুন কোন অ্যাপ সবচেয়ে বেশি ডেটা খরচ করছে। সোশ্যাল মিডিয়া বা ভিডিও অ্যাপ সাধারণত সবচেয়ে বেশি ডেটা নেয়।
৫. অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন
যে অ্যাপগুলো আপনি ব্যবহার করেন না, সেগুলো মুছে ফেলুন। অনেক সময় এই অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা খরচ করে, যা আপনি বুঝতেই পারেন না।
৬. ভিডিও দেখার সময় কোয়ালিটি কমিয়ে দিন
HD বা Full HD ভিডিও ডেটা দ্রুত শেষ করে ফেলে। ইউটিউব, ফেসবুক বা টিকটকে ভিডিও চালানোর সময় Medium বা Low quality সিলেক্ট করুন।
৭. Data Saver মোড চালু রাখুন
ফোনে Data Saver Mode অন রাখলে অপ্রয়োজনীয় ডেটা খরচ বন্ধ হয়। Android ব্যবহারকারীরা Settings → Network → Data Saver থেকে এটি চালু করতে পারেন।
৮. ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ থামান
অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে ডেটা খরচ করে। Settings → Apps → Data usage এ গিয়ে Restrict background data অপশন চালু করুন নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য।
৯. অপ্রয়োজনীয় নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
গেমিং, নিউজ বা শপিং অ্যাপগুলো প্রায়ই নানা নোটিফিকেশন পাঠায়। প্রয়োজন না থাকলে এই অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করুন। এতে অযথা ডেটা খরচ কমবে।
১০. ভারী ওয়েবসাইট বা অ্যাপ শুধু Wi-Fi তে ব্যবহার করুন
শপিং, ভিডিও বা স্ট্রিমিং অ্যাপ অনেক বেশি ডেটা নেয়। মোবাইল ডেটার বদলে Wi-Fi তে ব্যবহার করলে অনেক সাশ্রয় হবে।
স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন, তাই স্মার্ট ইউজারও হোন। একটু সচেতন থাকলে মাস শেষে ডেটা বিল কমে যাবে অনেকটাই।
সিএ/এমআর