Home আঞ্চলিক চট্টগ্রামের রাউজানে শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

চট্টগ্রামের রাউজানে শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

0

ইভান পাল

চট্টগ্রামের রাউজানে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়েছে শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৩ এপ্রিল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাউজানের কুন্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহ স্মৃতিবৃত্তি ২০১৮ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে কুন্ডেশ্বরী ট্রাস্টের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. বেনু কুমার দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মুনতাসির মামুন।

আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি ড. মহীবুল আজিজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. অলক পাল, নাট্যব্যক্তিত্ব শুভ্রা বিশ্বাস, গণমাধ্যমকর্মী অনুপম শীল প্রমুখ।  

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন বলেন, “ছাত্রদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মের ভুল ইতিহাস চর্চার দায় শিক্ষকেরা এড়াতে পারেননা।”

তিনি আরো বলেন, “ নারী শিক্ষার যে আলো নূতন চন্দ্র সিংহ এই তল্লাটে জ্বেলেছেন, সেটা অবিস্মরণীয়।”

এবার রাউজানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আগে আগে শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের স্মৃতি স্বরণে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে কুন্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যামন্দিরের শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের নারী শিক্ষার অন্যতম অগ্রদূত নূতন চন্দ্র সিংহ ১লা ডিসেম্বর ১৯০০ সালে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গুজরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি চট্টগ্রামের গ্রামাঞ্চলে নারী শিক্ষার ব্যাপারে কুন্ডেশ্বরী বালিকা মহাবিদ্যালয়, কুন্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যামন্দির, কুন্ডেশ্বরী আয়ুর্বেদিক কলেজ ও কুন্ডেশ্বরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করেন, যা আজও সগৌরবে তাঁর কীর্তি বহন করে চলেছে। এছাড়াও তিনি গহিরা হাই স্কুল, গহিরা কলেজ, রাউজান কলেজ, রাউজান স্কুল, হাটহাজারী কলেজ, বাঁশখালী কলেজ, ফতেয়াবাদ কলেজসহ চট্টগ্রামের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন যা আজো চিরস্মরণীয়। তিনি মানবাতার সেবায় ভারত উপমহাদেশের অন্যতম আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিঃ প্রতিষ্ঠা করেন। কুন্ডেশ্বরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট তাঁর নামে প্রতি বছর ‘শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহ স্মৃতি বৃত্তি’ ও গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করে থাকে। 

১৯৭১ সালের ১৩ই এপ্রিল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে নিহত হন। ২০১১ সালে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে অসাধারণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নূতন চন্দ্র সিংহকে (মরণোত্তর) “স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১১”প্রদান করা হয়।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version