দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৭ জন রোগী।
এই সময়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৯২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২৫ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন। খুলনা বিভাগে ৪১ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৫ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। তারা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই দ্রুত সঠিক চিকিৎসা না পেলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং অন্য কোনো গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ডেঙ্গু ঝুঁকিপূর্ণ।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফোড়ন ও বর্জ্য নষ্ট করা, খোলা পানি সংগ্রহ না করা, মশা নিধন কার্যক্রম, এবং সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সকলকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। তদুপরি, গরম ও জলাধার মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা এবং নিজ নিজ এলাকায় মশার প্রজনন রোধে নিয়মিত উদ্যোগ নেওয়া অপরিহার্য।
সিএ/এমআরএফ


