আনারসের রসালো ও মিষ্টি স্বাদে ভরা ফলটি পুষ্টি, এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। দিনে কিছু টুকরো আনারস খেলে বা স্মুদিতে মেশালে শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতা উন্নত হয়। নিয়মিত আনারস খাওয়ার মাধ্যমে হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ত্বকের উজ্জ্বলতা, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পেশী সুস্থতা সহ নানা উপকার পাওয়া সম্ভব।
১. হজমে সাহায্য করে
আনারসে থাকা ব্রোমেলেন নামক এনজাইম প্রোটিন ভেঙে ফেলে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। ফলের ফাইবার অন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে। এটি পেট ফাঁপা কমাতে এবং পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
এক কাপ আনারস দৈনিক ভিটামিন সি এর অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করে, যা রোগ প্রতিরোধ কোষ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রোমেলেন শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়।
৩. ত্বক উজ্জ্বল রাখে
আনারসের ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক, যা ত্বককে দৃঢ় ও মসৃণ রাখে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মলিনতা ও বলিরেখার কারণ ফ্রি র্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে। প্রচুর পানি থাকার কারণে ত্বক ভেতর থেকে হাইড্রেটেড থাকে, ফলে ত্বক সতেজ ও কোমল হয়।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
আনারসে ক্যালোরি কম, ফাইবার ও পানি সমৃদ্ধ, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এটি মিষ্টি খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমাতে এবং ক্যালোরি গ্রহণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে অযৌক্তিক খাবার খাওয়া রোধ হয় এবং স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৫. প্রদাহ ও পেশী ব্যথা কমায়
আনারসে থাকা ব্রোমেলেন প্রদাহ-বিরোধী, যা পেশী ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যথা কমার সঙ্গে সঙ্গে শরীর দ্রুত সুস্থ হয় এবং ক্লান্তি কমে।
সি.এ/এমআর


