অনেকের জন্য ধূমপান এক সময় বন্ধুত্ব বা সাহসী হওয়ার ছলেই শুরু হলেও পরে এটি নেশার রূপ নেয়। অল্প বয়সের খেলার ছলে খাওয়া সিগারেট কখনো কখনো দীর্ঘস্থায়ী অভ্যাসে পরিণত হয়। স্বাস্থ্যঝুঁকি সত্ত্বেও ধূমপানীর সংখ্যা কমে না, কারণ এই আসক্তি মানসিক ও শারীরিকভাবে জটিল। ‘সিগারেট ছেড়ে দেব’ বলা যতটা সহজ, বাস্তবে তা ততটাই কঠিন। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও ধাপে ধাপে প্রয়াসে আসক্তি কাটানো সম্ভব।
ধূমপান ছাড়ার আগে নিজের অভ্যাস ও ট্রিগার বুঝতে হবে। মানসিক চাপ, নির্দিষ্ট সময় বা অবস্থায় মানুষ ধূমপান করে। কখন, কোন পরিস্থিতিতে আপনার ধূমপানের ইচ্ছা strongest হয় তা শনাক্ত করলে এ নেশা ত্যাগ করা সহজ হয়।
কীভাবে ধূমপান ছাড়বেন?
হঠাৎ সিগারেট ছেড়ে দেওয়া সাধারণত কার্যকর নয়। একবারে সব বন্ধ করলে নিকোটিনের অভাবে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, এবং দুর্বল মুহূর্তে আবার সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তাই ধাপে ধাপে ধূমপান কমানো উচিত।
ধাপ ১: ধীরে ধীরে কমানো
একদিনে সব বন্ধ না করে ধীরে ধীরে সংখ্যা কমান। যেমন, দিনে ১০টি সিগারেট খেলে প্রথম সপ্তাহে ৮টি, পরের সপ্তাহে ৫টি, এরপরের সপ্তাহে প্রতি দিন ২টি কমানো। চতুর্থ সপ্তাহে প্রথম তিন দিন দিনে ১টি সিগারেট এবং পরে পুরোপুরি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। ধাপে ধাপে অভ্যাস পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী ফল দেয়।
ধাপ ২: পরিবেশ পরিবর্তন
সিগারেট খাওয়ার স্থান থেকে দূরে থাকুন। অন্য কাউকে ধূমপান করতে দেখলে ইচ্ছা জাগতে পারে। প্রয়োজন হলে চুইংগাম বা স্বাস্থ্যকর বিকল্প ব্যবহার করুন। এটি সিগারেটের প্রতি আকর্ষণ কমাতে সাহায্য করবে।
ধাপ ৩: চূড়ান্ত পরীক্ষা
না খেয়ে থাকার অভ্যাস তৈরি হলে বন্ধু বা পরিচিতদের সঙ্গে থাকলেও ধূমপান এড়িয়ে চলা সহজ হবে। তবে গন্ধ নাকে লাগা বা অন্য কাউকে ধূমপান করতে দেখলে ইচ্ছে আসতে পারে। এই মুহূর্তে নিজেকে সামলে রাখাই চূড়ান্ত পরীক্ষা। সাফল্য পেলেই চিরস্থায়ীভাবে এই নেশা কাটানো সম্ভব।
সিএ/ইরি


