পেটব্যথা এমন একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেকেই অবহেলা করেন। কিন্তু বারবার পেটব্যথা দেখা দিলে তা শরীরের ভেতরে গুরুতর কোনো রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যথার ধরন ও অবস্থান লক্ষ করলে জানা যেতে পারে কোন রোগের উপসর্গ এটি। নিচে পেটব্যথার পেছনে লুকিয়ে থাকা ছয়টি সম্ভাব্য রোগ তুলে ধরা হলো—
গলস্টোন (পিত্তথলিতে পাথর)
পিত্তথলিতে ছোট পাথরের মতো দানা তৈরি হলে পেটের ডান দিকের ওপরের অংশে তীব্র ব্যথা হয়। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার পর ব্যথা বাড়ে এবং অনেক সময় কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
গ্যাস্ট্রাইটিস
পাকস্থলির দেয়ালে প্রদাহ হলে বমিভাব, জ্বালাপোড়া ও পেটে ভারি ভাব দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা কিছু ওষুধের কারণেও এ সমস্যা হতে পারে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স (জিইআরডি)
পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালিতে উঠে এলে বুকজ্বালা, টক ঢেঁকুর ও উপরের পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। দীর্ঘদিন থাকলে খাদ্যনালি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস
ডান পাশের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা, জ্বর, বমি ও খাবার খেতে অরুচি—এসব হলে তা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত চিকিৎসা দরকার হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন পড়ে।
আইবিএস
স্ট্রেস ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এ সমস্যা বাড়ে। পেটে ব্যথা, ফাঁপা ভাব, গ্যাস ও অস্বস্তি এর প্রধান উপসর্গ। এটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
পেপটিক আলসার
পাকস্থলি বা অন্ত্রে ঘা হলে খালি পেটে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ও টক ঢেঁকুর দেখা দেয়। চিকিৎসা না হলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঝে মাঝে পেটব্যথা স্বাভাবিক হলেও ঘন ঘন ব্যথা হলে তা অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ পেটব্যথা অনেক সময় বড় অসুস্থতার আগাম সংকেত দেয়। প্রয়োজন হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা
সিএ/এমআরএফ


