ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রাজধানীর পূর্বাচলে আয়োজিত গণসংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে তিনি বিমানবন্দরের ভিআইপি ফটক দিয়ে বের হন।
এর আগে বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আগত বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সকালে ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকায় আসে। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তারেক রহমানের জন্য আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা লাল-সবুজ রঙের একটি বাসে করে তিনি রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনাস্থলের দিকে রওনা হন। রওনার সময় বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রচারিত সরাসরি ভিডিওতে দেখা যায়, বাসের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। তারা বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফুল হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ‘তারেক রহমানের আগমন, শুভেচ্ছা-স্বাগতম’, ‘বাংলাদেশের প্রাণ, তারেক রহমান’—এ ধরনের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। নেতা-কর্মীদের এই সারি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
গাড়িবহর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য সামনে-পেছন ও চারপাশ ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। গাড়িবহরটি ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়। তথ্য অনুযায়ী, বহরটি বেলা ১টা ৩২ মিনিটে কাওলা এলাকা, ১টা ৫২ মিনিটে খিলক্ষেত এবং বেলা ২টার দিকে কুড়িল এলাকা অতিক্রম করে।
সিএ/জেএইচ


