আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা এখন নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট উপযোগী এবং ভালো রয়েছে। বর্তমানে এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যা নির্বাচন ব্যাহত করতে পারে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম বা মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতসহ আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্ক এবং সীমান্ত বিরোধ নিয়ে দলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথমে ক্ষমতায় যাওয়া জরুরি, ক্ষমতায় গেলে তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে পার্লামেন্টে গিয়ে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিএনপির প্রতি আকর্ষণ ফিরিয়ে আনতে দলে সব ধরনের পরিবর্তন ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে হ্যান্ডেলিং দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বন্দর হ্যান্ডেলিং দিয়েছে, তবে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিষয়টি পুনঃপর্যালোচনা করা হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন আসনে দলের একাধিক প্রার্থীর প্রচারণা এবং বিক্ষিপ্ত কোন্দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি একটি বিশাল রাজনৈতিক দল, যেখানে একেকটি আসনে চার-পাঁচজন প্রার্থী থাকেন। কিছু সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক এবং এটা দলের বড় রাজনৈতিক শক্তি প্রমাণ করে। নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি পিছিয়ে নেই, বরং বহু আগে থেকেই এগিয়ে আছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
সিএ/এমআরএফ


