কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, বাংলাদেশে একতরফাভাবে নির্বাচন করলেই দেশের ভালো হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল, তার সঙ্গে ভালো থাকুক বা খারাপ থাকুক, প্রচুর মানুষ রয়েছে। তাই নির্বাচন অবশ্যই সব মানুষের অংশগ্রহণে হওয়া উচিত, যাতে প্রতিটি নাগরিক বলতে পারে, “আমি ভোট দিয়েছি।”
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটীতে কারামুক্ত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, সরকার সবসময় একপাক্ষিকভাবে কাজ করেছে। দুই-তিন মাস ধরে তা মানা যেতে পারে, কিন্তু এরপর যা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ একপক্ষীয়। জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা, বঙ্গবন্ধুর ঘর-বাড়ি ভাঙা—এসব কাজ মানায় না। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের ক্ষতির কোনো প্রতিকার হয়নি। এই ধরনের কাজ একতরফাভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
কাদের সিদ্দিকী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, অধ্যাপক ইউনূসকে চিনতে তিনি সাহায্য করেছেন। ২০১২ সালে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কথা উঠলে তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন, যার ফলে অনেক স্থাপনা স্থায়ীভাবে রক্ষা পায়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পরবর্তীতে যদি এমন সহযোগিতা না থাকে, গ্রামীণ ব্যাংকের কিছু স্থাপনা সংরক্ষিত থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বিষয়ে কথা বলার জন্য কখনো ডাকেনি। সম্প্রতি তিনি একটি চিঠি পান, যা দেখে বোঝেন, ডাক এসেছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, আন্তরিকভাবে কাজ করলে কোনো ঝুঁকি নেই। কিন্তু পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজের ইচ্ছামতো ফলাফল বের করার চেষ্টা করলে প্রচুর ঝুঁকি থাকে এবং তা সফল হবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, তার স্ত্রী সাবেক এমপি লায়লা সিদ্দিকী, আব্দুল্লাহ বীরপ্রতিক, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক হিটলু, কালিহাতী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, সখীপুর কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, কালিহাতী কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি ইতহার সিদ্দিকী প্রমুখ।
সিএ/এমআরএফ


