জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানিয়েছে, তাদের প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দ দেওয়া জরুরি। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এক ফেসবুক পোস্টে এই ব্যাখ্যা প্রকাশ করেন।
এনসিপি বলছে, নির্বাচন কমিশনের খসড়া তালিকায় শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত ছিল। গত ৪ জুন নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে আশ্বস্তও করা হয়েছিল। পরে ২২ জুন নিবন্ধনের আবেদন করার সময় শাপলাকে প্রতীক হিসেবে সংরক্ষণ চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায় দলটি। এর পর থেকেই দেশের মানুষের কাছে শাপলা এনসিপির প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পায় বলে দাবি দলের।
দলটি জানায়, জুলাই মাসে দেশব্যাপী আয়োজিত পদযাত্রায় মানুষ খাল-বিল থেকে শাপলা এনে প্রতীকটির সঙ্গে নিজেদের আত্মিক সম্পর্ক প্রকাশ করেছে। কিন্তু পরে নির্বাচন কমিশন জানায়, শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় সেটি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।
এনসিপির দাবি, নির্বাচন কমিশনের এই অবস্থান আইনি ভিত্তিহীন। সংবিধানের ব্যাখ্যা দিয়ে তারা বলছে, জাতীয় প্রতীক হলো শাপলাকে কেন্দ্র করে ধানের শীষ, পাটপাতা ও তারা সমন্বিত একটি নকশা। তাই আলাদাভাবে শাপলাকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহারে কোনো বাধা নেই। এর আগে বিএনপিকে ধানের শীষ, জেএসডিকে তারা এবং অন্যান্য দলকে জাতীয় প্রতীকের ভিন্ন উপাদান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেহেতু শাপলা বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ এনসিপির।
তাদের অভিযোগ, একটি বড় রাজনৈতিক দলের তৎপরতায় নির্বাচন কমিশন শাপলা বরাদ্দ দিতে অনাগ্রহী। কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা। এনসিপি বলছে, পুলিশ, বিমান বাহিনী বা সুপ্রিম কোর্টের লোগোতেও বিদ্যমান প্রতীক অন্য দলগুলোকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ শুধু শাপলার ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যাখ্যা দেখানো হচ্ছে।
তারা আশা প্রকাশ করেছে, নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালের বিধিমালা সংশোধন করে শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা—এই তিনটির যেকোনো একটি প্রতীক বরাদ্দ করবে।
সিএ/এমআরএফ