প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশেষ মেধাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা গেলে তারা ভবিষ্যতে উন্নত বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।
তিনি জানান, এ লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অধীনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনা, সাভারে আন্তর্জাতিক মানের বহুমুখী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদদের জন্য শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ উদ্বোধনসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ‘৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সকল বিশেষ মেধাসম্পন্ন প্রতিবন্ধী শিশু ও ব্যক্তি, তাদের পরিবার, সেবাদানকারী গবেষক, থেরাপিস্ট, সহায়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।
জাতিসংঘ ঘোষিত এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরসমূহ কমিউনিটি বেইজড রিহ্যাবিলিটেশন (সিবিআর) কর্মসূচির আওতায় দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সমাজসেবা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
ড. ইউনূস বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশের বিশেষ মেধাসম্পন্ন ভাই-বোনেরা একদিন তাদের শ্রম, জ্ঞান ও নিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবে। তিনি ‘৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।
সিএ/ইরি


