আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো ধরনের অবনতি হওয়ার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ‘আজকে দেখেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে, সেই সময়ে বিভিন্ন দলের বিক্ষোভ-মিছিলের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সভা-সমিতির সংখ্যাও বেড়ে যাবে।’
রোববার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো উদ্বেগ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে এমন কোনো শঙ্কা নেই। তার ভাষায়, দায়িত্ব নেওয়ার সময় পরিস্থিতি ভালো ছিল না, তবে গত দেড় বছরের চেষ্টায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনেও নিরাপত্তা বাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে, ততই বিক্ষোভ-মিছিল, সভা-সমিতির সংখ্যা বাড়বে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ হলেও এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি থাকবে বলে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।
দেশে অপরাধের মাত্রা এখনো উদ্বেগজনক কি না—এমন প্রশ্নে একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে এখন বিভিন্ন বিষয়ে অনেকেই বিশ্লেষক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। কিন্তু তাদের যোগ্যতা বা ভিত্তি সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করতে চান না। তার মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের কাজ বাস্তবতার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করা উচিত।
বর্তমান ভূমিকম্প পরিস্থিতি ও সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো নির্ভরযোগ্য আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নেই। তবে অন্যান্য দেশে ব্যবহৃত প্রযুক্তি, যেমন কয়েক সেকেন্ড আগে সতর্কবার্তা দেওয়া যায়—এমন অ্যাপ নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। একই সঙ্গে তিনি বিল্ডিং কোড মেনে চলা এবং জলাশয় ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। তার মতে, বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে নিরাপদ আশ্রয়ের জায়গা না থাকার ঝুঁকি থাকতে পারে, যা ভবিষ্যতে সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন।
সম্প্রতি মধ্যরাতে এক সাংবাদিককে ডিবি কর্তৃক তুলে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মধ্যেই আলোচনা চলছে। তিনি দাবি করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনের বাইরে গিয়ে অন্যকিছু করছিলেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
সিএ/এমআরএফ


