সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। নবগঠিত জাতীয় বেতন কমিশন দ্রুত কাজ শুরু করেছে এবং আগামী বছরের শুরুতেই, অর্থাৎ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সূত্র জানিয়েছে, কমিশন বর্তমানে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রস্তুতের কাজ চলছে। ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই এই সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে প্রতিবেদন জমা পড়লে একই মাসে বা জানুয়ারির শুরুতে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হতে পারে। এরপরই নতুন পে-স্কেল কার্যকর হবে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত অর্থ সংশোধিত বাজেটে রাখা হবে। এই কাজ ডিসেম্বরেই শুরু হবে। গেজেট প্রকাশের সময়ই মূল নির্ধারক হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের শুরুতেই নতুন বেতন কার্যকর করা সম্ভব।”
এদিকে, নতুন বেতন কাঠামোর পাশাপাশি প্রশাসনিক সংস্কারেও জোর দিচ্ছে সরকার। সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা ও জবাবদিহি বাড়াতে ‘জিপিএমএস—গভর্নমেন্ট পারফরমেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হওয়ার আগেই এই সংস্কার সম্পন্ন হবে।
সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্রগুলো মনে করছে, নতুন পে-স্কেল শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়—এটি প্রশাসনিক আধুনিকায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও চিহ্নিত হবে।
সিএ/এমআরএফ


