মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা‑সহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় আজ ঘোষণা হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হোসাইন তামিম বলেন, রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও পলাতক থাকার কারণে শেখ হাসিনা আপিল করার সুযোগ পাবেন না।
তিনি জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেফতার আসামিরা রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারেন। তবে আসামি পলাতক থাকলে বা আত্মসমর্পণ না করলে এই অধিকার কার্যকর করা যায় না। ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী নারী‑পুরুষ যেই হোক না কেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে শাস্তি প্রদান করা হয়।
চব্বিশের জুলাই‑অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত ঘটনাসহ পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এবং পুলিশ প্রধান আব্দুল্লাহ আল‑মামুনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার রায় দেবেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত গ্রেফতার আসামিরা আপিল করতে পারলেও, পলাতক শেখ হাসিনা ও কামালের ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকছে না। মামলায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল‑মামুন নিজের দোষ স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রসিকিউশনের অভিযোগ, শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয় এবং ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়। উল্লেখযোগ্য পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে উসকানিমূলক বক্তব্য, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, রংপুরে শিক্ষার্থীর হত্যা, চানখাঁরপুলে ছয়জন হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয় মরদেহ পুড়িয়ে আড়াল করার ঘটনা।
সিএ/এমআরএফ


