পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যাতায়াতের একমাত্র কার্যকর ঘাটলাটি ভেঙে সেখানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করায় জনগুরুত্বপূর্ণ এই পথটি বন্ধ করে দেওয়ায় নদীপথে আসা কয়েক হাজার রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এডিপি প্রকল্পের আওতায় জগন্নাথকাঠি বাজার উন্নয়নের নামে প্রায় ৯-১০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টয়লেটটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে নবনির্মিত এই টয়লেটের মাত্র ২০ ফুট দূরত্বের মধ্যেই আগে থেকে আরেকটি সচল টয়লেট বিদ্যমান। একটি কার্যকর টয়লেটের গা ঘেঁষেই রোগীদের পথ বন্ধ করে নতুন এই স্থাপনা নির্মাণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝালকাঠি, কাউখালি, বানারীপাড়া ও নাজিরপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর নির্ভরশীল। নদীমাতৃক এই অঞ্চলের রোগীরা ট্রলার বা নৌকায় করে সরাসরি হাসপাতালের এই ঘাটলাটি দিয়েই যাতায়াত করতেন। কয়েক মাস আগে জগন্নাথকাঠি বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের তত্ত্বাবধানে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রবেশপথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী কামাল হোসেন বলেন, ‘‘নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নদীপথে আসা রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাটলা বন্ধ করে সেখানে পুনরায় টয়লেট নির্মাণ করা নির্বুদ্ধিতার প্রমাণ । জরুরি ভিত্তিতে এখানে একটি কার্যকর ঘাটলা নির্মাণ করা প্রয়োজন।’’
বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘নৌপথে আসা মুমূর্ষু রোগীদের জন্য এই ঘাটলাটি ছিল একমাত্র ভরসা। টয়লেট নির্মাণের আগে বিকল্প কোনো ব্যবস্থার কথা কর্তৃপক্ষ মাথায় রাখেনি। এখন রোগীদের হাসপাতালে নিতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এটি পুনঃনির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজন।’’
দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত এই ঘাটলাটি উচ্ছেদ করায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত ঘাটলাটি পুনঃস্থাপন এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পিরোজপুর প্রতিনিধি
সিএ/জেএইচ


