প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, দেশের কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স এখন নেই। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই মব ভায়োলেন্স ছিল। আমাদের সময়ও কিছু মব ভায়োলেন্স হয়েছে, এটা আমরা অস্বীকার করছি না; কিন্তু বর্তমানে সব ধরনের মব ভায়োলেন্স নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যারা মব ভায়োলেন্স নিয়ে ভয় পায় বা এসব নিয়ে কথা বলেন, তাদের ভেতরে দুর্বলতা আছে। তারা স্বৈরাচারের দোসর।” শুক্রবার সকালে নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “আমাদের সরকার ইতোমধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করেছে। সংস্কার কমিশনের কাজেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কতটা সংস্কার হয়েছে, তার স্পষ্ট দলিল থাকবে। গণভোটের বিষয়ে আমাদের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে।”
জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের বিষয়ে তিনি বলেন, “এই সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঠেকানোর কারও সাধ্য নেই। সারা দেশে এখন নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এখনো যারা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন বা নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন, তারা পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দোসর।”
মিথ্যা তথ্য প্রচারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “৯ মাসে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করে আলী রীয়াজ পালিয়ে গেছেন বলে এক ব্যক্তি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন; কিন্তু এই টাকার হিসাব তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন, তা আমি জানি না। অনেক সময়ই মিথ্যা বলে জনপ্রিয়তা বাড়ে। তাই জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য অনেকেই মিথ্যাচার করেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিদেশে প্রচলিত একটি নিয়ম আছে—টক শোতে যারা আসেন তারা সাধারণত সত্যবাদী এবং গ্রহণযোগ্য। কিন্তু আমাদের দেশে এ বিপরীত। একজন যদি অত্যন্ত মিথ্যা কথা বলেন, তাঁকে টক শোতে আনা হয়। এতে টিভি শোর জনপ্রিয়তা বাড়ে, কিন্তু জনগণকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়। আমরা মাইলস্টোন, সেন্ট মার্টিন, উপদেষ্টাদের নাগরিকত্ব, মিনিস্ট্রি ও সেনাবাহিনী নিয়ে মিথ্যাচার দেখেছি। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান প্রমুখ।
সিএ/এমআরএফ


