ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে চোর সন্দেহে এক মোটরসাইকেল মেকানিককে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার আসাদনগর এলাকার একটি ভাঙারি দোকানে। নিহত মো. ফোরকান মিয়া (৩৫) পেশায় একজন মোটরসাইকেল মেকানিক ছিলেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং মাতুর বাড়ির মোড় এলাকায় একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম রবিন ও খাইরুন ইসলাম ওরফে হৃদয় চোর সন্দেহে ফোরকান মিয়াকে তার বাড়ি থেকে ডেকে এনে একটি ভাঙারি দোকানে নিয়ে যান। সেখানে দোকান মালিক শফিকুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা লোহার শিকল দিয়ে ফোরকানের হাত-পা বেঁধে স্টিলের পাইপ, লোহার হাতুড়ি ও অ্যালুমিনিয়ামের পাত দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
একপর্যায়ে অভিযুক্তরা মোবাইল ফোনে ফোরকান মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে কল করে মারধরের চিৎকার শোনান। ফোনে ফোরকান মিয়া স্ত্রীকে জানান, তাকে নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় এক রিকশাচালকের সহায়তায় তাকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শনিবার নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আসাদনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৪৪), একই গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম রবিন (১৯), মো. রিমন মিয়া (৩০) এবং মো. খাইরুন ইসলাম ওরফে হৃদয় (২০)।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াছিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
সিএ/এএ


