বাংলাদেশ পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম চূড়ান্ত করা হয়েছে। পুলিশের সদর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে রাজারবাগ পোশাক ভান্ডার থেকে নতুন পোশাক গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন পোশাকের রং নিয়ে বাহিনীর অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেক সদস্য নতুন রংকে ‘রুচিহীন ও বেমানান’ হিসেবে বর্ণনা করছেন।
গত বছরের ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশের সংস্কার ও বাহিনীর মানসিকতা পরিবর্তনের অংশ হিসেবে নতুন ইউনিফর্মের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নতুন রঙ নির্ধারণ করা হয়েছে পুলিশের জন্য লোহার (আয়রন) রঙ, র্যাবের জন্য জলপাই (অলিভ) রঙ এবং আনসারের জন্য সোনালি গম (গোল্ডেন হুইট) রঙে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (লজিস্টিক) সারোওয়ার জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ২ নভেম্বরের মধ্যে ইউনিটগুলোকে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে রাজারবাগ থেকে নতুন পোশাক সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর নির্ধারিত স্থানে নতুন পোশাক তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ পুলিশ সদস্য নতুন রংকে অরুচিকর ও বেমানান মনে করছেন। তারা প্রকাশ্যে মতামত দিতে পারছেন না চাকরির শর্তের কারণে। ঢাকার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা নতুন রঙকে অনুকূল না বললেও সদর দপ্তরের নির্দেশ মেনে চলবেন।
সরকারের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, পুলিশ সংস্কার ও মানসিকতা পরিবর্তনের অংশ হিসেবে নতুন ইউনিফর্ম চালু করা হচ্ছে। পোশাক নির্ধারণ কমিটি বিভিন্ন দেশের পুলিশের ইউনিফর্ম বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত রঙ নির্বাচন করেছে। নতুন ইউনিফর্মের সঙ্গে পুলিশ লোগোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেখানে নৌকার বদলে শাপলা, ধান ও গমের শীষ থাকবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এএইচএম শাহাদাত হোসাইন জানিয়েছেন, ১৫ নভেম্বর থেকে ডিএমপি ও অন্যান্য মেট্রোপলিটন ইউনিটে নতুন পোশাক চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা পর্যায়ে সময় লাগবে। র্যাব ও আনসারের ইউনিফর্ম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
সিএ/এমআরএফ


