“আগামীতে আগামীদের হালখাতা” র পাতায় চট্টগ্রাম থেকে লেখা পাঠিয়েছেন আগামীর এক বন্ধু।।
কবিতা
অরুণা
অরুণা তুমি কি আর আমায় আগের মতোন ভালবাস না,
আমি হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি,
বিশ্বাস করো তোমায় ছাড়া থাকতে হবে এটা আমি কল্পনা করতে পারছিনা,
আমাকে ছেড়ে যাবার কথা তো কখনও ছিলো না,
তুমি এত স্বার্থপর কি করে হলে,
আমার উপর কি একটুও বিশ্বাস ছিলোনা,
তবে কি করে তৈরি হয়েছিলো ভালবাসার প্রহর,
তুমি আমাকে কথা দিয়েছিলে তেপান্তরের বিল দেখতে নিয়ে যাবে,
আর আমি বলেছিলাম অরুণা, তুমি আমায় এভাবে ভালবাসবে তো সারাজীবন?
খানিক চুপ থেকে বললে, আমি এভাবেই হাত ধরে থাকতে চাই,
সেদিনের সেই খানিক চুপ করে থাকাটা কি দ্বিধায় ফেলেছিলো তোমায়,
আজ আমি তেপান্তরের বিলে এসে দাড়িয়ে আছি,
কি অদ্ভুত দেখো কথাটা সত্যি হলো, কিন্তু মিথ্যে টা যে তুমি হয়ে গেলে,
তুমি কি বেশ আছো! ওখানেও কি হাতে হাত রাখার কেউ আছে?
এসব প্রশ্ন আমায় যে বড্ড কুড়েকুড়ে খাচ্ছে..
দুজনার ফেলে আসা বিকেল, হেঁটে চলা পথ সবকিছুই আছে এখনও যত্নে,
শুধু আমাকে আগলে রাখার সেই তুমি নেই,
আমি এখন অনেক অগোছালো হয়ে গেছি অরুণা তুমি কি আমায় একটুও বকতে আসবেনা?
আমি তোমার সব বকুনি সয়ে নিবো শুধু একটিবার এসে নিয়ে যাও আমায়,
তোমায় ছাড়া আমার অক্সিজেনে নিকোটিনের ধোঁয়া মিশে আছে,
আমার ফুসফুস জুড়ে শুধুই কালচে রংয়ের বিবর্ণ অন্ধকার,
যদি ওপারে দেখা পায় সে আশায় আমার প্রত্যেকটা দিন কেটে যায়,
তুমি কি আমার হয়ে এখনও দাড়িয়ে আছো,
যদি আমি হাজার ইচ্ছেকে ডিঙিয়ে আসতে পারি তোমার রাজ্যে,
আমায় কি ভালবেসে নিবে বরণ করে?
অরুণা অভিমান করে থেকো না, চিরকালই আমার থেকে অভিমানটা তোমার বড্ড বেশি,
আমি জীবনের সাথে লড়ে যাবো, তুমি দেখে নিও,
আমি সবাইকে বুঝিয়ে দিবো তুমি ছাড়া আমার আর কোন কিছুর প্রয়োজন ছিলো না,
শুধু একবার আসো অরুণা আমার যে হারিয়ে ফেলা পথ চিনতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে,
হাঁটতে হাঁটতে আজ আমি ক্লান্ত, বিশ্বাস করো তোমায় ছাড়া আমি যে নিঃস্ব।।
কবিতাটি লিখেছেনঃ যুবশ্রী ঘোষ
কবিতাটির প্রসঙ্গে কবি তার ভাব ব্যক্ত করেছেন এভাবে—–
এটি মূলতঃ একটি বিরহের কবিতা। অরুণা হচ্ছে এমন একজন প্রেমিকা যার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রেমিক। ওরা একে অপরকে খুব ভালবাসতো। তবে ভাগ্য তাদের একসাথে কাটানোর প্রয়াস করে দেয়নি। হঠাৎ প্রেমিকার চলে যাওয়াতে প্রেমিকের এহেন আকুতি মিনতি সে ফিরে এসে যেনো তাকে নিয়ে যায় প্রেমিকার রাজ্যে।।