বাংলাদেশের মডেল ফটোগ্রাফির অগ্রপথিক হিসেবে যাকে সবাই চেনেন ও জানেন তিনি হলেন চঞ্চল মাহমুদ। কিন্তু এই পরিচয়ে আবদ্ধ হতে চান না তিনি। নিজেকে একজন ভার্সেটাইল ফটোগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফার হিসেবেও রয়েছে তার বেশ খ্যাতি।বাংলাদেশের অনেক তারকার তারকা হয়ে ওঠার পেছনে যে মানুষটির ভূমিকা অনন্য তিনি চঞ্চল মাহমুদ। সালমান শাহ, নোবেল, পল্লব, সুইটি, তানিয়া, শমী কায়সার, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি, মৌসুমী, শাবনূর , পপির মতো আরো অনেক তারকা যার কাছে প্রথম ছবি তুলে নিজেকে তারকা হবার পথে এগিয়ে নিয়ে যান তিনিই চঞ্চল মাহমুদ।
দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেক কালজয়ী ঘটনার নীরব সাক্ষী হয়ে নীরবে-নিভৃতে জীবন যাপন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। চঞ্চল মাহমুদের ভাষায়- সময় বদলেছে, ফটোগ্রাফিতেও এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে তিনিও নিজেকে ফটোগ্রাফিতে আধুনিক করে তুলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ছাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আর তাই বঙ্গবন্ধুর প্রয়াণ দিবস থেকে আজ অবধি সবসময় তিনি কালো পোশাক পড়েন। গুণী এই ফটোগ্রাফার ষাট বছরে পা রেখেছেন। তবে জীবনের এই বিশেষ দিনে ছিল না কোনো বিশেষ আয়োজন। স্ত্রী রায়না মাহমুদ এবং তার হাত ধরেই ফটোগ্রাফিতে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই সময় কেটেছিল চঞ্চল মাহমুদের।
চঞ্চল মাহমুদ বলেন, দেখতে দেখতে জীবনের এতোটা সময় চলে গেছে ভাবতেই পারি না। তবে আমি আমার আজকের অবস্থান, অর্জন এবং আমার চারপাশের সবাইকে নিয়ে বেশ ভালো আছি। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ আমাকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। বাংলাদেশের এই খ্যাতিসম্পন্ন ফটোগ্রাফারকে চ্যানেল আগামীর পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।
মহিউদ্দীন অমি
ব্যুরো চিফ, বরিশাল।