ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া একাধিক আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। পাশাপাশি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে কয়েকটি আসন ছেড়ে দিয়েছে দলটি। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) মোট তিনটি আসনে নতুন করে এই পরিবর্তন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে সংশোধিত মনোনয়নপত্র সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে ঢাকা-১২ আসনটি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের জন্য ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এর আগে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও আকবর শাহ-পাহাড়তলি আংশিক) আসনে ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার পর শনিবার সকালে তিনি সীতাকুণ্ডে নিজ বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, তা আপনাদের ত্যাগের ফসল।’
চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার সময় চট্টগ্রাম-১১ আসনটি ফাঁকা রেখেছিল বিএনপি।
এর বিপরীতে চট্টগ্রাম-১০ আসনে নতুন করে প্রার্থী করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাইদ আল নোমানকে। তিনি বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে।
যশোর জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। যশোর-১ (শার্শা) আসনে প্রথমে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে। পরে সেখানে শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর উপজেলা ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে প্রথম মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব। পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারাজীকে।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে শুরুতে বিএনপির উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন মনোনয়ন পান। পরে জোটগত সিদ্ধান্তে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের (একাংশ) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি রশীদ বিন ওয়াক্কাসকে মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মনোনয়ন পাওয়া দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের পরিবর্তে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদকে প্রার্থী করা হয়েছে।
এদিকে পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও জিয়ানগর) আসনের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।
সিএ/জেএইচ


